বিস্তারিত
আর্থ-সামাজিক অগ্রগতি ও জনগণের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে, রুপকল্প ২০২১ অনুযায়ী দেশের সকল নাগরিককে বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় এনেছে সরকার। সার্বজনীন বিদ্যুৎ সুবিধা প্রদান, জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ এবং জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি-৭) অর্জনের জন্য সরকার প্রচলিত জীবাশ্ম জ্বালানির পাশাপাশি নবায়নযোগ্য জ্বালানি হতে পরিবেশ বান্ধব বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। নবায়নযোগ্য জ্বালানির প্রধান উৎসগুলো (সৌর শক্তি, হাইড্রো, বায়োগ্যাস, বায়োমাস, জিয়োথারমাল, ওয়েভ এবং টাইডাল এনার্জি)-এর মধ্যে বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে সম্ভাবনাময় উৎস হচ্ছে সৌর শক্তি। কিন্তু প্রতি মেগাওয়াট ইউটিলিটি স্কেল সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্পের জন্য তিন একরের অধিক অকৃষি ভূমির প্রয়োজন হওয়ায় বৃহৎ আকারের সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন দুরূহ। বিকল্প হিসেবে বিদ্যুৎ বিতরণ গ্রিডে সংযুক্ত বিভিন্ন স্থাপনা, যেমন বাসা-বাড়ি, শিল্প কারখানার অব্যবহৃত ছাদে সোলার সিস্টেম স্থাপনের মাধ্যমে নবায়নযোগ্য জ্বালানির মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধির উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। সরকার এই উদ্দেশ্যে নেট মিটারিং নির্দেশকা - ২০১৮ (২০১৯ সালে সংশোধিত) প্রণয়ন করেছে। প্রি-পেমেন্ট/স্মার্ট মিটারে নেট মিটারিং বাস্তবায়ন সংক্রান্ত পরিপত্র গত ২১ জুন ২০২৩ তারিখে প্রকাশিত হয়।
নেট মিটারিং কী?
নেট এনার্জি মিটারিং প্রক্রিয়ায় রুফটপে সোলার প্যানেলের মাধ্যমে উৎপাদিত বিদ্যুৎ গ্রাহকের লোডে ব্যবহারের পর অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিতরণ গ্রিডে সরবরাহ করা হয়। Bi-Directional Meter উক্ত সরবাহকৃত বিদ্যুতের হিসাব রাখে। এই রপ্তানিকৃত বিদ্যুৎ প্রতিমাসে আমদানিকৃত বিদ্যুতের সাথে সমন্বয় করা হয়, রপ্তানি বেশি হলে ক্রেডিট হিসেবে জমা হয়। এই পদ্ধতিতে ব্যাটারির প্রয়োজন হয় না বলে সোলার সিস্টেম লাভজনক। তাছাড়া, অর্থ বছর শেষে গ্রিডে জমা রাখা বিদ্যুতের পরিমাণ ব্যবহৃত বিদ্যুতের চেয়ে বেশি হলে সংশ্লিষ্ট ইউটিলিটি নির্ধারিত মূল্যে ওই অতিরিক্ত বিদ্যুতের মূল্য বিদ্যুৎ গ্রাহককে পরিশোধ করবে। এ ধরনের বিদ্যুৎ গ্রাহকের জন্য বিলের ফরম্যাট এর কপি
ডাউনলোড
Planning and Implementation: Cabinet Division, A2I, BCC, DoICT and BASIS